ফজলুল বারী

বিএনপির অবস্থা খুব খারাপ। মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ডোনাল্ড লু না কে আসছেন, এসব দেখে তাদের চলে না। অথচ এই কিছুদিন আগেও সকালে বিকালে মার্কিন দূতাবাসে না গেলে তাদের চলতো না। টেকব্যাকের আওয়াজ নিখোঁজ। অতঃপর ভারতীয় পণ্যের তালিকা দিয়ে বলেছেন, এগুলো খেলে ক্যান্সার হবে। দশ ট্রাক অস্ত্রের ভূত এমন শুধুই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আমার এক বন্ধু একাত্তর জার্নালে জোর দিয়ে বলেছেন, ভারতীয় এসব খাবার খেলে ক্যান্সার হবেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাকি বলেছে। হায়রে ইউরোপীয় ইউনিয়নÑ কেন, কখন, কোন কথা বলে অথবা বলে না, এটা বোঝার চেষ্টা করতে নেই। গাজায় যে ইসরাইল এর মাঝে ৩৩ হাজার লোক মেরে ফেলেছে, এটা কি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলে? তারা বলে না বলে কী গাজায় গণহত্যা ঘটছেনা।

কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে ইউরোপ আমেরিকার সম্পর্ক ভালো নয়। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারতের অর্থনীতি সবচেয়ে উপকৃত। এখনতো তারা ভারতে ক্যান্সার শুধু না, আর কতকিছু দেখবে। আর বাংলাদেশের মানুষের ক্যান্সার হতে কী ভারতীয় পণ্যের দরকার হয়? ঢাকার বাতাস, শব্দদূষণ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কোন বাস্তবতা ক্যান্সারের সহায়ক নয়? এই যে দেশে এত বেতনবিহীন মিডিয়া, সাংবাদিক, মানুষকে জিম্মি করে যারা করে খাচ্ছে, এটা কি ক্যান্সারের চেয়ে কম? এমন বহু পেশা এখন দেশে আছে যা ক্যান্সারের চেয়ে ভয়াবহ। এত মানুষ প্রতিদিন বাংলাদেশে শুধু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, আহত হন এর কয়েকগুন। দেশে মানুষের নিরাপদ চিকিৎসা পাবার ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। আর বাংলাদেশের বিএনপি আর সাংবাদিক  ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্যান্সারের গল্প নিয়ে মশগুল! লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক। ১৩-৫-২৪। ফেসবুক থেকে